December 23, 2024, 11:58 pm
দৈনিক কুষ্টিয়া অনলাইন/
গত বৃহস্পতিবার ভারতে করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন শনাক্ত হবার পর পশ্চিমবঙ্গ সরকার সীমান্ত এলাকায় ট্রাক চালকদের কোয়ারেন্টিনে রাখার পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।
পদক্ষেপগুলোর মধ্যে আরও রয়েছে- আরটিপিসিআর টেস্ট করানো এবং ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী রাজ্যের কয়েকটি জেলায় বাংলাদেশ থেকে পণ্যবাহী ট্রাকের চলাচল সীমিত করা।
বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গের প্রায় ২,২১৬.৭ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্ত আছে এবং রাজ্যের ২৩ জেলার মধ্যে ১০টিই এই সীমান্ত জুড়ে অবস্থিত। পশ্চিমবঙ্গের কয়েকটি জেলার মধ্য দিয়ে প্রতিদিনই উভয় দেশের বেশ কিছু পণ্য বহনকারী ট্রাক চলাচল করে, যার মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য হল পেট্রাপোল।
পেট্রাপোল ভারতের পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগণার অন্তর্গত ইন্দো-বাংলাদেশ পেট্রাপোল-বেনাপোল সীমান্তের একটি চেকপয়েন্ট।
পেট্রাপোল দক্ষিণবঙ্গের একমাত্র স্থলবন্দর এবং এটি এশিয়ার বৃহত্তম স্থল শুল্কস্টেশন হিসাবেও পরিচিত। এই সীমান্তের দু’পাশে প্রতিদিন প্রচুর সংখ্যক পণ্যবাহী ট্রাক চলাচল করে থাকে।
পেট্রাপোলের ল্যান্ড পোর্ট অথরিটি অফ ইন্ডিয়ার ব্যবস্থাপক কমলেশ সাইনি বলেন, “ভারতে প্রবেশের অন্তত ৭২ ঘণ্টা আগে পিসিআর টেস্ট বাধ্যতামূলক। এটি বাংলাদেশ থেকে আসা ট্রাক চালক এবং অন্য সকলের জন্যই প্রযোজ্য। এই চেকআপের জন্য আমরা একটি নিবেদিত দল গঠন করেছি।”
তিনি আরও বলেন, “বাংলাদেশ থেকে বিজনেস ভিসা এবং মেডিকেল ভিসা নিয়ে আসা লোকজনকে ভারতে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তবে পরীক্ষায় পজিটিভ শনাক্ত হলে তাদের কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হচ্ছে। অন্যদিকে এই দুই ভিসার বাইরে যারাই আসছেন, তাদের পজিটিভ শনাক্ত হলে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হবে। কেউ ভুয়া রিপোর্ট দিচ্ছে কিনা, সেটিও আমাদের দল খতিয়ে দেখছে।”
উত্তর ২৪ পরগণার জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সুমিত গুপ্তা বলেছেন, “ভারতে আসা সবাইকে স্ক্রিনিং করানো হচ্ছে এবং কারো আরটি-পিসিআর পরীক্ষায় পজিটিভ এলে তাকে চিকিৎসার জন্য বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হচ্ছে।”
এছাড়াও বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী মালদা জেলা আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ চেকপয়েন্ট যেখান দিয়ে প্রতিদিন উভয় দেশে বিভিন্ন নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যবাহী ট্রাক যাতায়াত করে।
মালদার জেলা ম্যাজিস্ট্রেট রাজর্ষি মিত্র বলেন, “আমরা কিছু চালককে আইসোলেটেড করে রেখেছি; তাদের জনসাধারণের সাথে যোগাযোগ করার অনুমতি দেওয়া হয়নি। বর্তমানে তারা রপ্তানি সমিতির মালিকানাধীন একটি ভবনে কোয়ারেন্টাইন পালন করছেন। এই চালকেরা প্রতিদিন ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে চলাচল করতেন।”
“তাদেরকে ভারতের অভ্যন্তরে চলাচল করতে দেওয়া হচ্ছে না। ১৫-২০ দিন পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হবে, তবে তার আগে আরটি-পিসিআর টেস্ট করানো হবে। এই প্রক্রিয়াটি মহামারির একদম শুরুর দিকে পরিচালনা করা হতো, এতোদিন পর আবারও চালু করা হলো। স্বাভাবিক ভিসা ও পাসপোর্টধারীদের বাংলাদেশ থেকে ভারতে আসা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।”
Leave a Reply